•‘না বলা কথা,•

ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে যাত্রীর আসনে এখন চরে বসে দেশীয় জাতের মোরগ-মোরগী। আরো যাত্রওী বেশে যোগ হয়েছে মাছ,শাক সবজি, সিরামিকস পণ্য, কনজ্যুমার পণ্য, মোবাইল ফোন , সেট, সিম, মিনিট কার্ড, এমবি কাড সহ আরো যে কত ধরণের পণ্য এসব ভাড়ায় চালিত মোটারসাইকেলে যাত্রীর আসনে স্থান করে নিয়েছে সেই কবে থেকে তা বলে শেষ করা যাবেনা। 

‘পুরো বলতে গেলে যত দোষ নন্দ ঘোষ, এ তকমাই জুটবে আমার ভাগ্যে। 



কিন্তু একটি প্রশ্ন জাগে সবার বিবেকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত সড়কে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল গুলোতে যাত্রীর আসনে স্থান করে নেয়া শত শত মোরগ-মোরগীর আর অন্য পন্য সামগ্রী গুলোর আসল গন্তব্যস্থল কোথায়?


লোজননের জানা মতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্ত সড়ক ঘেষা লাউরগড়, চাঁনপুর, টেকেরঘাট, বাালিয়াঘাট, চারাগাঁও, বীরেন্দ্রনগর সহ  বিজিবির ৬টি দায়িত্বশীল বিওপি (ক্যাম্প) রয়েছে। 


লোকজন জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকায় এসব দেশীয় জাতের মোরগ-মোরগীর মুল্যের চেয়ে বেশী মূল্য পাওয়া যায় সীমান্তে ওপারে ভারতীয় এলাকায়। আবার মুল্য না নিয়ে ভারতীয় পণ্য আনা যায় বিনিময় হিসাবে।  


সীমান্ত লাগোয়া কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০টি চোরাচালান পয়েন্ট রয়েছে। চোরাকারবারীগণ সহজেই রাতের আধারে কিংবা দিনের আলোতেও সময় সুযোগ বুঝে এসব মোরগ-মোরগী শাক সবজি মাছ সহ অন্য পণ্য সামগ্রী  পৌছে দিচ্ছে ভারতীয় চোরাচালানীদের হাতে।


অভিযোগ রয়েছে সীমান্তের ওপারে ভারতীয় চোরাচালানীদের নিকট এসব মোরগ-মোরগী মাছ শাক সবজি , পণ্য সামগ্রীর বিনিময়ে  এপারের চোরাচালানীরা কখনো ভারতীয় মুদ্রা (হুন্ডির টাকা), মাদক, গাঁজা, ইয়াবা, বিড়ি চিনি জিরা, মসলা,, সুপারী, জুতো, প্লাষ্টিকের মাদুর, সাবান, বডি স্প্রে, শ্যাম্পু, আমুল গুড়ো দুধ, চকলেট, কসমেটিকস , সাথে বাড়তি মুদ্রায় গবাদী পশু ( গরু, মহিষ, ঘোড়া) সহ নানা ভারতীয় চোরাচালানী পণ্য এপারে নিয়ে এসে ফের স্থানীয় আরেকদল চোরাচালানী কিংবা সীমান্ত এলাকায় থাকা মুদি দোকানীদের নিকট বিক্রয় করে আসছে বছরে পর বছর ধরে।


বিষয়টি প্রায়শই সবার কাছে ছোট আকারে নজরে পড়লেও যোগফল কিন্তু বড় ধরণের হতে পারে। 


গোটা বিষয়টি সীমান্তের এপার-ওপার চোরাচালানের আওতায় পড়বে বলে ধারণা করছি।


আশা করি পুলিশ, বিজিবি সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর দায়িত্বশীলগণ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন সাধারণ মানুষজনের এ সংক্রান্ত অভিযোগ সঠিক কিনা না তাও যাচাই করার নিয়মিত চেষ্টা করবেন। 


শেষ অবধি প্রত্যাশী রাখি এ সংক্রান্ত চোরাচালানের ঘটনা যদি আদৌ সত্য হয় তবে যেন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার কাহিনী রচনা না করা হয়।।  

বিনয়াবনত: হাবিব সরোয়ার আজাদ,দৈনিক যুগান্তর,স্টাফ রিপোর্টার-০২.০৬.২২ বৃহস্পতিবার।

Post a Comment

أحدث أقدم